চট্টগ্রাম কাঁপানো দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের বদলি ? বেঁচে যাচ্ছেন ‘রাঘববোয়ালরা’

রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১ | 114 বার

চট্টগ্রাম কাঁপানো দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের বদলি ? বেঁচে যাচ্ছেন ‘রাঘববোয়ালরা’
চট্টগ্রাম দুদক কার্যালয়, ইনসেটে তদন্ত কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব সনদ, এনআইডি কার্ড আর পাসপোর্ট পেতে সহায়তা, চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য খাতের মহাদুর্নীতি আর কক্সবাজারের শতাধিক উন্নয়ন প্রকল্পে হরিলুটসহ বেশ কিছু স্পর্শকাতর বিষয়ে তদন্ত করছে দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়। তবে এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনকে বদলি করায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে সুষ্ঠু তদন্ত আর দায়ীদের আইনের আওতায় আনা নিয়ে। সুশাসন নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের স্বার্থেই শরীফের বদলি আদেশ পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

বুধবার (১৬ জুন) ২১ কর্মকর্তাকে বদলি করে দুর্নীতি দমন কমিশন। যার মধ্যে চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিনকে বদলি করা হয় পটুয়াখালী। শরীফের বদলির বিষয়টি নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে জনমনে। কেনোনা এমন সময় তাঁকে বদলি করা হলো, যখন তাঁর তদন্তে একের পর এক জালে জড়িয়ে পরছিলো রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্ট ইস্যুতে জড়িতরা।

শুধু তাই না, সাম্প্রতি এক মন্ত্রীপুত্রের অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেয়া, রেলে খালাসী নিয়োগে দুর্নীতি, কক্সবাজারে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার শতাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের ভূমি গ্রহণে হরিলুট, চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যখাতে টেন্ডার ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতের দুর্নীতির মূল উৎখাতে কাজ করে আলোচিত হন এই কর্মকর্তা।

প্রায় সাড়ে তিন বছরে অর্ধশতাধিক মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পান শরীফ উদ্দিন। এসময় আটক করেন সরকারি কর্মকর্তাসহ মোট ২১ জনকে। জব্দ করেন ৫০ কোটি টাকা।

বিশ্লেষকদের মতে, মাঝপথে চৌকস এই কর্মকর্তার বদলিতে প্রভাব পরতে পারে সব তদন্তে। অবশ্য দুদক সচিবের দাবি কোনো চাপ নয় বরং স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই শরীফের বদলি হয়েছে। তাঁর অবশিষ্ট তদন্ত কাজ এগিয়ে নেবে অন্য কর্মকর্তারা। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন শরীফ উদ্দিন।

Development by: webnewsdesign.com