চার খলিফার যাঁতাকলে যুক্তরাজ্য বিএনপি !

বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩ | 10 বার

চার খলিফার যাঁতাকলে যুক্তরাজ্য বিএনপি !
চার খলিফার যাঁতাকলে যুক্তরাজ্য বিএনপি !

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ঘিরে চার খলিফার আভির্ভাব ঘটেছে। এই সিন্ডিকেটের কারণে অনেক ত্যাগী নেতারা বিভিন্ন সময় অপমানিত হচ্ছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছের মানুষ পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। দলীয় প্রধানের নাম ব্যবহার করে শতশত নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভাগিয়ে নিচ্ছেন। তাদের সিন্ডিকেট থেকে বাদ যাচ্ছে না নারী কর্মীরাও। দলের পদ প্রত্যাশী কয়েকজন নারীকে নিজেদের সঙ্গে লিভ টুগেদার করতে বাধ্য করারও অভিযোগ রয়েছে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। এই সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক পরিচয়দানকারী খসরুজ্জামান খসরু। বাকীদের নাম প্রমানসহ পর্যায়ক্রমে প্রকাশ কারা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লন্ডনে একসময় রেস্টুরেন্টের কিচেন পোর্টোর হিসেবে কাজ করত এই খসরু। পরে তারেক রহমানের কাছের লোক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের কাছ থেকে হাজার হাজার পাউন্ড আদায় করেন। সেই টাকা দিয়ে একজন ব্রিটিশ নারীর সঙ্গে ব্যবসা শুরু করে পরে সেই নারীর পুরো রেস্টুরেন্ট দখল করে নেন।

 

 

সে পদপ্রত্যাশী বিভিন্ন দলীয় নেতাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কেরে টাকা নিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যে একটি চ্যারিট সংগঠন চালু করেন। সবাইকে তার সংগঠনের অনুদান করতে বলে। হাজার হাজার পাউন্ড ডোনেট নিয়ে তিনি সেই টাকা আত্মসাৎ করেন। তাছাড়া তিনি দেশ থেকে লন্ডনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদেরকে কর্মসূচির সামনের সারিতে থাকতে দেন না। তাদেরকে প্রভাব খাটিয়ে দূরে সরিয়ে দেন। পরে তারা তার সঙ্গে দেন-দরবার করতে বাধ্য হন।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে পড়তে আসা বিএনপি মনা বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্য বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয়া নারীদেরকে পদ পাইয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে লিভটুগেদার করতে বাধ্য করেন। এ ছাড়া রাজনৈতিক আশ্রয় পাইয়ে দিতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েও সেসব নারী শিক্ষার্থী ও দলীয় কর্মীদেরকে তার হোটেলের গোপন রুমে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। এসব অভিযোগ এরই মধ্যে দলীয় প্রধান তারেক রহমানের কানে গেলেও তিনি এখনো এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে জানা গছে।

তার এসব অপকর্ম নিয়ে কথা বলায় তারেক রহমানের একজন ব্যক্তিগত স্টাফের গায়েও হাত তুলেছেন তিনি। বিষয়টি তারেক রহমানের কানে গেলে পরে মাফ চেয়ে রক্ষাপান তিনি।

এই সিন্ডিকেটের আরেক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি সুইডেন বিএনপির সেক্রেটারির পদ দেয়ার কথা বলে ‍দুই কোটি টাকা নিয়েছেন। এছাড়া তাকে একটি গাড়িও উপহার দেয়া হয়। এই গাড়ি দিয়েই ১৮ কোটি মানুষের নেতার বিভিন্ন প্রোগ্রামে নিয়ে যাই। সুইডেনের কমিটি অনুমোদনের সময় তিনি যুক্তরাজ্য থেকে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বিমানে করে সুইডেন নিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুদ্ধ তারেক রহমান কমিটি গঠনের দিন তার উপর ক্ষোভ ঝাড়েন।

কমিটির অন্যতম আরেকজন সদস্য কার্ড ফ্রড করে জেল কাটেন কিছুদিন। এখন উনি কেন্দীয় নেতা। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি বাণিজ্য করে হাজার হাজার পাউন্ডের মালিক হয়েছেন তিনি।সম্প্রতি দুবাই ফ্লাটও কিনিছি কারন লন্ডনে সে সরকারের বেনিফিটে সময় কাটিয়েছে।হঠাৎ করে এত অবৈধ টাকা হওয়ায় এখন সে সকলের আলোচনার মুখে।

কমিটির আরেক সদস্য তার স্ত্রীকে দিয়ে ডা. জোবাইদা রহমানকে কব্জা করে রাখেন। তিনি ছাত্রলীগ নেত্রী ছিলেন। তার স্ত্রীর মাধ্যমে জোবাইদা রহমান থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের কাছে প্রচার করে হাজার হাজার কাটি টাকার মালিক হয়েছেন।

এই সিন্ডিকেটের কেউই বাংলাদেশে কোনও দলীয় পদ ছিলো। অথচ লন্ডনে সিন্ডিকেট করে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এতে দলীয় প্রধানসহ বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করছেন বিএনপির ত্যাগী নেতারা।

Development by: webnewsdesign.com