সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিচার শুরু হয়েছে জার্মানির মাটিতে। গণহত্যা সম্পর্কিত বিষয়ে জার্মানির আন্তর্জাতিক এখতিয়ারের অংশ হিসেবে দেশটি প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে এ বিচারকাজ শুরু করেছে। জার্মানির কোবলেনবৎস শহরে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার তদন্তাধীন অভিযোগটি মামলা হিসেবে এগুচ্ছে।
এদিকে দ্য সিরিয়ান আর্কাইভ, সোসাইটি জাস্টিস ইনিশিয়েটিভ এবং সিরিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়া অ্যান্ড ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন- এ তিনটি সংস্থাও পৃথক একটি মামলা দয়ের করে। আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগটি হলো, সিরিয়ার ঘোটা শহরে ২০১৩ সালে আসাদবিরোধী বিক্ষোভের শুরুর দিকে বিষাক্ত সারিন গ্যাস প্রয়োগ করে মানুষকে গণহারে হত্যা করা হয়। এতে ওই অঞ্চলে ১ হাজার মানুষ গ্যাসের প্রভাবে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান। ২০১৭ সালের দিকে খান শেইখুন শহরেও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি অভিযোগে উঠে আসে।
কিন্তু বাশার আল আসাদের সরকার আরব বসন্ত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত টিকে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন হয়েই দেশ শাসন করে যাচ্ছেন। গোটা ৭ বছরের যুদ্ধে বিপর্যস্ত সিরিয়া। রাশিয়া ও ইরানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ক্ষমতা ধরে রেখেছেন তিনি। জার্মানিতে শুরু হওয়া এ বিচার আসাদকে কতটা টলাতে পারবে তা বলার সময় এখনই আসেনি। কিন্তু আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী সংস্থার মধ্যে অন্যতম সিরিয়ান আর্কাইভের পরিচালক হাদি আল-খাতিব বলেন, এ পদক্ষেপগুলি নিঃসন্দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এতে করে মানুষ বুঝতে পারে যে বিচার চাইতে আমরা কেউ ভুলিনি৷ তবে সিরিয়ার মাটিতে এই বিচারকাজ হলে তা সেখানের মানুষের জন্য একেবারে অন্য অর্থ বয়ে আনবে।
জার্মানির আদালতে চলতে থাকা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারের তদন্ত যা ইতিমধ্যে মামলার মর্যাদা পেয়েছে তা কি সত্যি কার্যকরভাবে অগ্রসর হবে- সেটিই বড় প্রশ্ন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর মাধ্যমে আসাদের বিচার সত্যিই সম্পন্ন করা যাবে-এমন জোরালো কথা বলছে না কেউই। সূত্র: ডয়চেভেল।
Development by: webnewsdesign.com