করোনাকালীন সময়ে নারীর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ঠাকুরগাঁওয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে মানব কল্যাণ পরিষদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আয়োজনে এমকেপির সমন্বয়কারী সাদেকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, শিক্ষা অফিসার রুনা লায়লা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এমদাদ আলী প্রমুখ।
কর্মশালায় বক্তাগণ বলেন করোনাকালীন সময়ে নারীর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে যা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ সময় নারীর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ৯৯৯ এ কল দেয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দেন তারা।
যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এমদাদ আলী বলেন নিজের সন্তানকে বুঝাতে হবে কোনটি বৈধ, আর কোনটা অবৈধ, কোনটা করা যাবে আর কোনটা করা যাবে না। বাচ্চাকে আদর করি। কিন্তু কিছু মানুষ আছে যারা বাচ্চাদের আদর করে। এই আদর করার মাধ্যমে অনেকে এবিউজ করে। যা নিজের চোখে দেখার উদাহারণ দেন তিনি।
শিক্ষা অফিসার রুনা লায়লা বলেন শিশু নির্যাতনের কারণে দুই জন শিক্ষককে সার্সপেন্ড করেছি।
সমাজসেবা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম ভিন্নমত পোষন করে বলেন করোনাকালীন সময়ে নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়েনি, বরঞ্চ কমেছে। কারন আগে আমি মাসে ৮-৯টি মামলার তদন্ত কাজ করেছি কিন্তু গতমাসে শুধুমাত্র দুইটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পড়েছে।
ঠাকুরগাঁও থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন আমরা এধরনের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। দেখা গেছে তাৎক্ষনিক ভাবে বিয়েটা বন্ধ হলেও পরে অন্য এলাকায় নিয়ে গিয়ে বিয়ে দেয়। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে ছেলে-মেয়ের উভয়ের মধ্যে একটা সমঝোতার মাধ্যমে কিছু ঘটনা ঘটে, যা পরবর্তীতে অপহরণ বা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়।
তিনি আরো বলেন নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে থানায় একটি হেল্প ডেক্স খোলা হয়েছে। যেখানে নারীরা সরাসরি গিয়ে তাদের কথা গুলো জানাতে পারবে বলে জানান তিনি।
Development by: webnewsdesign.com