স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর সচেতনাতমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে আজ শনিবার (২০ মে ২০২৩) বিকাল ৫টায় রাজধানীর শ্যামলী পার্কে প্রচারণামূলক এক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
প্রচারণামূলক কার্যক্রমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, উত্তর সিটি করপোরেশন সৈয়দ হাসান নুর ইসলাম রাষ্টন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি চীফ স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর মাউদুদুল হাসান, ঢাকা জেলার সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার, সিভিল সার্জন অফিস জনাব মো: মহসিন মিয়া, জুনিয়র শিক্ষা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন অফিস শাহানা পারভীন।
প্রচারণামূলক কার্যক্রমে সভাপত্বিত করেন আদ্রিতা ভিজ্যুয়াল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইমরান চেীধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব সৈয়দ হাসান নুর ইসলাম রাষ্টন বলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ মুহূর্তে ৮৪ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ৩০ বছরের বেশি বয়সের সবাইকে পরীক্ষা করলে এ সংখ্যা আরও বাড়বে। অথচ সমগ্র দেশে তাদের চিকিৎসায় ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ (অ্যান্ডোক্রাইনোলজিস্ট) চিকিৎসক রয়েছেন ১৫০ জন। সে হিসেবে প্রতি ৫৬ হাজার রোগীর সেবায় চিকিৎসকের সংখ্যা মাত্র একজন। আর মোট জনসংখ্যা হিসেবে প্রতি ১২ লাখ মানুষের জন্য ডায়াবেটিস চিকিৎসক রয়েছেন একজন। এমনকি দেশে অসংক্রামক রোগের মধ্যে অন্যতম ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসাসেবা ব্যয়বহুল। ফলে রোগীদের ৩৫ শতাংশই চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। চিকিৎসার আওতায় রয়েছেন ৬৫ শতাংশ বা ৫৬ লাখ রোগী । বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, দেশে এমন পরিবার নেই, যে পরিবারে অন্তত একজন ডায়াবেটিক রোগী, অথবা ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছেন এমন মানুষ নেই। ফলে পরিবারকে ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করতে হলে এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি অতীব জরুরী।
সভাপতির বক্তব্যে মাউদুদুল হাসান বলেন, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ এ দুটো পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। গবেষনায় দেখা গেছে ৭০ শতাংশ ডায়াবেটিসের রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই অকালে মৃত্যুবরণ করে থাকেন। অতি ওজন, ধুমপান, খাদ্যাভাস, শারীরিক নিস্ক্রিয়তা বা বংশগত যে বিষয়গুলো ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়, এগুলো হৃদরোগেরও ঝুঁকি। তাই এ দুটো সমস্যা পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত। একটির ঝুঁকি কমালে অপরটির ঝুঁকিও কমে আসবে, যার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও অংশীজন ও বিশেষজ্ঞসহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এসময় ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে গণসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে টি-শার্ট ও সচেতনামূলক লিফলেট বিলি করা হয় ।
Development by: webnewsdesign.com