দোহার উপজেলা সাংবাদিকদের কার্যালয়ের সিসিটিভি ভেঙে লুটপাটের চেষ্টা করে কথিত সাংবাদিক কামরুল

দোহার উপজেলা সাংবাদিকদের কার্যালয়ের সিসিটিভি ভেঙে লুটপাটের চেষ্টা করে কথিত সাংবাদিক কামরুল
দোহার উপজেলা সাংবাদিকদের কার্যালয়ে লুটপাটের জন‌্য অফিসে যাওয়ার সময় বাইরে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নেয়া কথিত সাংবাদিক কামরুলের ছবি

ঢাকার দোহার উপজেলায় সাংবাদিকদের কার্যালয়ের সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে অফিস লুটপাটের চেষ্টা চালিয়েছে দোহার প্রেসক্লাবের তথাকথিত সভাপতি কামরুল হাসান।

ঘটনার পর দোহার থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে দুষ্কৃতিকারী কামরুল হাসানকে শনাক্ত করেছে। এ ঘটনায় দোহার থানায় লিখিত অভিযোগ ও জিডি করা হয়েছে। জিডি নং-২২৩, তাং-০৬/০৮/২০২১ইং।

উপজেলার প্রাণকেন্দ্র দোহার থানা সংলগ্ন বেগম আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় অবস্থিত কার্যালয়টিতে দৈনিক সমকাল, দৈনিক আগামীর সময়, দৈনিক খোলা কাগজ, দৈনিক আমার সংবাদ, দৈনিক দেশের কণ্ঠ, দৈনিক আজকালের খবর, অনলাইন পোর্টাল বিডি নিউজ এক্সপ্রেস ২৪ ডট নেট এবং স্থানীয় সাপ্তাহিক ও অনলাইন পোর্টাল বিবিসি নিউজ ৭১ এর সাংবাদিকরা সকল সংবাদ সংক্রান্ত কাজ সম্পাদন করে থাকেন ।

সাংবাদিকরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার (৪ আগস্ট) রাত পৌনে ৮টার দিকে কাজ শেষে কার্যালয় বন্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকরা কার্যালয়ে আসলে অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙা দেখতে পায় এবং কার্যালয়ে তালা আঠালো অবস্থায় লাগানো দেখা যায় । তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.মোস্তফা কামালকে জানালে তার নির্দেশে ওসি (তদন্ত) কর্মকর্তা মো.মাসুদুর রহমান ও এস.আই মো.রকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে কার্যালয়ের ভেতর থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেন ।

তদন্ত কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল বেগম আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স এর পুরো ভবনের সেই সময়ের বিভিন্ন ফুটেজ সংগ্রহ করে । ঘটনার সময়,দিন অনুযায়ী দুষ্কৃতিকারী কামরুল হাসানকে শনাক্ত করেন তদন্ত কর্মকর্তারা ।

এ ঘটনায় দোহার থানা পুলিশ দুষ্কৃতিকারী কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের একটি লিখিত অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি গ্রহন করে।

এ বিষয়ে দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান টিপু জানান, যারাই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে । এর আগেও দুষ্কৃতিকারী কামরুল হাসান আমাকেসহ অন্যান্য সাংবাদিদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছিলো । এছাড়াও কামরুল হাসান ও তার সহযোগিরা দোহার উপজেলার বিভিন্ন সম্মানিত ব্যক্তিদের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ফেইক আইডি দ্বারা সম্মানহানী করে। বিষয়টি আগে থেকেই দোহার থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। সাংবাদিকের কার্যালয়ে হামলার এমন দৃশ্যমান ঘটনা মেনে নেয়া যায় না।

এ বিষয়ে দোহার থানার ওসি (তদন্ত) কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, দেশের বিভিন্ন মফস্বল এলাকায় অপসাংবাদিকতা চলছে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রকৃত সাংবাদিকদের হেনস্তা করার উদ্দেশ্যে কথিত নামধারী সাংবাদিকরা এ ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ঘটনায় আমি সিসি টিভির ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতিকারী কামরুল হাসানকে শনাক্ত করেছি। আইনানুগভাবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, এ ঘটনায় দোহার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আলামত সংগ্রহ করে কথিত সাংবাদিক কামরুল হাসানকে শনাক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ও ডিজি নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Development by: webnewsdesign.com