চলতি ২০২৩ ইং বছরের হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। এবার নিজ দেশে ফেরার পালা হাজিদের। রোববার (২ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে হজের ফিরতি ফ্লাইট। হাজিরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন দেশে ফেরার। যারা হজ পালনে জন্য শেষের দিকে সৌদি আরব পৌঁছেছেন তারা পবিত্র মক্কা থেকে জিয়ারতের জন্য রওনা দিয়েছেন মদিনায় মসজিদে নববীর উদ্দেশ্যে ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস জানিয়েছে, আজ রাতে সৌদি আরবের মদিনা মনোয়ারা বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফিরতি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে। সোমবার (৩ জুলাই) ভোরে ফ্লাইটটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা তাহেরা খন্দকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেসব হাজিরা হজ করতে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে থেকে ৪১৯ জন হাজিকে নিয়ে প্রথম ফ্লাইট রোববার রাতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবে। হাজিদের নিয়ে ঢাকায় সোমবার ভোর ৬টা ৫ মিনিটে অবতরণ করবে। আগামী ২ আগস্ট হজের ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ।
হাজিদের ফিরতি ফ্লাইটের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে মক্কায় বাংলাদেশ হজ অফিসে সমন্বয় সভা করা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) এবং প্রশাসনিক দলের দলনেতা মো. মতিউল ইসলাম সমন্বয় সভার সভাপতিত্ব করেন। সভায় হজ পরবর্তী সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হাজিদের নির্বিঘ্নে দেশে ফেরার জন্য বিভিন্ন করণীয় বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে হজ প্রশাসনিক (প্রথম এবং দ্বিতীয়) দলের সদস্য, কাউন্সিলর (হজ) মো. জহিরুল ইসলাম, চিকিৎসক এবং আইটি দলের সদস্যরা সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ হজ অফিস জানায়, বিগত বছরে হাজিদের জন্য বোতলজাত জমজমের পানি হাজিদের সাথে ফ্লাইটে দিয়ে দেওয়া হতো। এবার জমজমের পানি আগেই বহন করে ঢাকায় নিয়ে এসেছে এয়ারলাইন্সগুলো । হজযাত্রীদের হজ শুরুর সময় সৌদি পৌঁছে দেওয়ার পর ফিরতি ফ্লাইটে করেই জমজমের পানি এনে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মজুত রাখা হয়। তাই হাজিদের লাগেজে জমজমের পানি না আনার পরামর্শ দিয়েছে সব এয়ারলাইন্সগুলো। হাজিরা ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর প্রত্যেককে ৫ লিটার করে জমজমের পানির বোতল দেওয়া হবে । চট্টগ্রাম অথবা সিলেট বিমানবন্দরেও একইভাবে জমজমের পানি পাবেন হাজিরা। কোনো হাজি লাগেজে করে জমজমের পানি আনতে চাইলে লাগেজটি সৌদিতেই থেকে যাবে । কিংবা সৌদি বিমানবন্দরে লাগেজ থেকে পানি ফেলে দেওয়ার পরই তা বিমানে তুলতে দেবে । একইভাবে অনেকে কোরবানীর উট ও দুম্বার কাঁচা মাংস ফ্রোজেন করে আনেন, এটা না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস জানিয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন সৌদি আরবে গেছেন । এভারের হজ ফ্লাইট পরিচালনায় মোট ৩২৫টি ফ্লাইটে হজযাত্রীদের বহন করা হয়েছে । এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৫৯টি ফ্লাইট পরিচালনা করে ৬১ হাজার ১৮০ জন, সৌদি এয়ারলাইন্স ১১৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৫৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করে ২০ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী বহন করেছে।
Development by: webnewsdesign.com