মহান বিজয় দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব)’র উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অদ্য ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ ২৩/২, তোপখানা রোডস্থ ইনসাবের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
ইনসাবের কার্যকরী সভাপতি মিজানুর রহমান বাবুল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ইনসাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক, সহ সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, মো. সোহরাব হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মো. সাইদুল ইসলাম খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলী হোসেন, অর্থ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম রেজা, দপ্তর সম্পাদক মো. আজিজুর রহমান, ইনসাব নেতা মো. আলী আজগর শেখ মধু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক ও প্রেরণার উৎস। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্রষ্টা। তিনি শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে তিনি ছিলেন আপোষহীন। বিপন্ন জীবনের মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তিনি জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও দারিদ্র বিমোচন করে সকল মানুষের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়া। সেই লক্ষ্যে দেশে শিল্প বিপ্লব ঘটাতে নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশে^র নিপীড়িত মানুষের মুক্তির পথ প্রদর্শক, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি জাতি ও রাষ্ট্রের স্থপতিই নন তিনি গোটা পৃথিবীর নিপীড়িত-বঞ্চিত শোষিত মানুষের নেতা ছিলেন। তার সুদক্ষ নেতৃত্বেই দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ শেষে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশসহ আধুনিক বিশ্বের সকল অবকাঠামো নির্মাতা হলো নির্মাণ শ্রমিকরা। বাংলাদেশের ৪০ লক্ষ নির্মাণ শ্রমিক এখনো শ্রম আইন অনুযায়ী তার ন্যায্য অধিকার ও সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাদের বানানো অট্টালিকায় বড় লোকরা থাকলেও তাদের মাথা গোঁজার াই নেই। কর্মস্থলে তাদের জীবনের নিরাপত্তা আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। দীর্ঘদিন থেকে নির্মাণ শ্রমিকরা পেনশন স্কীম ও রেশনিং চালু করার দাবী করে আসলেও আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
নেতৃবৃন্দ নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য পৃথক বাসস্থান, নিরাপদ কর্মস্থল, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত হওয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ, পেনশন স্কীম ও রেশন প্রদানের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ শ্রেণী বৈষম্য দূর করে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের শোষণমুক্ত রাষ্ট্র ও সমাজ কায়েমে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
Development by: webnewsdesign.com