বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৪৯ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, ময়মনসিংহ, রাজবাড়ী, নেত্রকোণা, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, নরসিংদী, চাঁদপুর, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, খুলনা, ঝিনাইদহ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর, নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব বিকাশ চন্দ্র দাস, সহকারী পরিচালক জনাব প্রনব কুমার প্রামানিক ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক জনাব রোজিনা সুলতানা, জনাব মোঃ মাগফুর রহমান, জনাব মাহমুদা আক্তার ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক কল্যাণপুর নতুন বাজার, তালতলা মার্কেট ও গুলশান এলাকায় তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখার অপরাধে ‘আহমেদ ঔষধালয়’,’এসওএস ফার্মা’ কে যথাক্রমে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা,পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘শামীম জেনারেল স্টোর’, ‘সাথী এন্টারপ্রাইজ’, ‘অনেলা সুইটস এন্ড ডেইরি ফার্ম’, ‘জেনুইন মেডিসিন ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর’, ‘এস এম ফাহিম ট্রেডার্স, ‘রুবেল ট্রেডার্স’ কে যথাক্রমে ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা, মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘এ রাজ্জাক স্টোর’ কে ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘পুষ্টি হোম মেইড’ কে ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ১৩ জুলাই ২০২১ তারিখে মোট ১,০০,৫০০/-(এক লক্ষ পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি
পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭,১৯,০০০/-(সাত লক্ষ ঊনিশ হাজার)টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৩৫,০০০/-(পঁয়ত্রিশ হাজার)টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং ৩ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে ৮,৭৫০/-(আট হাজার সাতশত পঞ্চাশ) টাকা প্রদান করা হয়।
সর্বমোট ৪৯টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৩টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১২৮টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৮,৫৪,৫০০/= (আট লক্ষ চুয়ান্ন হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সহ সংশ্লিষ্ট শিল্প বণিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ অধিদপ্তর পরিচালিত বাজার অভিযানে সহযোগিতা প্রদান করেন। বাজার অভিযান/তদারকিকালে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীবৃন্দের মধ্যে লিফলেট, প্যাম্ফলেট বিতরণসহ হ্যান্ডমাইকে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়।
এছাড়াও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিট্রেটগণ ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ নিশ্চিতকরণসহ স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
Development by: webnewsdesign.com