রাজাকারের কড়াল থাবা আজ সিভিল এভিয়েশনের বুকে। দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয় আজ (True Aviation)/ ট্রু এভিয়শনের সিইও অব: উইং কমান্ডার হাসান মাসুদ। যার পিতা মৃত আশরাফ আলী মিয়া একজন রাজাকার। গোপালগঞ্জের রামদিয়ায় তার জন্ম।
সম্প্রতি সিএএবি আওয়ামী সমর্থকগোষ্ঠী নামে একটি সংগঠন দুদক, বিমান বাহিনী প্রধান, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ডিজি জিডিএফআই, ডিজি ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স, চেয়ারম্যান, প্রধান প্রকৌশলী, সদস্য (প্রশাসন), সদস্য (অর্থ) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, (True Aviation) / ট্রু এভিয়েশনের সিইও অব: উইং কমান্ডার হাসান মাসুদের আপন চাচা মনি মিয়া ১৯৭১ সালের গোপালগঞ্জের আর একজন কুখ্যাত রাজাকার। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে, খুন, নারীধর্ষণ, রাহাজানি, সম্পদ লুটপাট সহ সকল প্রকার কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি শিশু হত্যা সহ এমন কোন কাজ নেই যে করেনি। মাসুদের আপন চাচা এনায়েত মিয়া ছিলেন আরেকজন কুখ্যাত রাজাকার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় আনার জন্য বর্তমান সরকার গত ৫/৬ বছর আগে এনায়েত মিয়ার নামে মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পরপরই সে ভারতে পালিয়ে যায় এবং বছর দুয়েক আগে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তার লাশ গোপনে ভারত থেকে মাসুদের সহায়তায় বাংলাদেশে এনে কবর দেওয়া হয়। সরকার মাসুদের আরেক রাজাকার চাচা, মনি মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আগেই তার মৃত্যু হয়। রামদিয়ার এই রাজাকার পরিবারটি ১৯৭১ সালে পুরো গোপালগঞ্জ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
অব: উইং কমান্ডার হাসান মাসুদ বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বি.এন.পি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত পাইলট ছিলেন। অভিযোগ আছে তিনি সরকারের প্রোটকল ভেঙে খালেদা জিয়াকে হেলিকপ্টার করে নেপালে নিয়ে যান। যেখানে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং পাকিস্তান সমর্থিত একটি সংগঠনের সাথে মিটিং করেন।
তারেক রহমানের নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্য আওয়ামী লেবাসধারী জামাত বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাদের সহায়তায় এফএসআর বিভাগে সদ্য আগত নতুন সদস্য এফএস আর মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত। মাসুদ বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম বডিগার্ড বর্তমানে লন্ডনে পলাতক অব: স্কোয়াড্রন লিডার ওয়াহিদুন নবীর অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারেক রহমানের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য এই ওয়াহিদুন নবী রাজকারপুত্র হাসান মাসুদকে ব্যবহার করেছে। আর বর্তমান সদস্য এফএসআর-এর সহযোগীতায় এগিয়ে আসছে। এর ফলে আওয়ামী পন্থী কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ হয়ে পড়েছেন কোনঠাসা। সিএএবিতে বিএনপির চর তৎকালীন ছাত্রদের টাইগার মিজান (অভিনুরুগ্রুপ) চুয়েটের ছাত্রদলের নির্বাচিত ভিসি সফিউল আজম এবং জামাতপন্থী লুৎফুর কবির বর্তমান সদস্য এফএসআর এর ঘনিষ্ঠজন এবং তারা একত্রে সদস্য এফএসআর এর রুমে প্রায়ই রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে। আগামী নির্বাচনের আগে একটা স্যাবোটজের চেষ্টা করছে তারা।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয় (True Aviation)/ ট্রু এভিয়েশনের একটি Antonov বিমান, নিয়মের বাহিরে গিয়ে অতিরিক্ত মালবোঝাই করে পরিচালন করার কারণে ক্রাশ করে। এতে দুইজন বিদেশী বৈমানিক মৃত্যুবরণ করে। নিয়মের তোয়াক্কা না করে বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ধোলাইখালের পার্টস ব্যবহার করে বিমান ঠিকঠাক করে। এইসব বিদেশীদের কোন অনুমেদিত ভিসা ছিলনা। ছিলনা বিমানবন্দরে প্রবেশের অনুমোদনপত্র। চেয়ারম্যান বিএএবি ইতিমধ্যে বিষয়টি বিডা ও ইমিগ্রেশনকে জানিয়েছেন।
আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বাংলাদেশকে I CAO এর কালোতালিকা ভু করার নীলনকশা বাস্তবায়নের পথে এই মাফিয়া মাসুদ গং। আমেরিকাতে সরাসরি বিমানের ফ্লাইট পরিচালনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিকে ধুলিস্যাত করতে, বর্তমান জামাতি সদস্য এফএসআর কেসিএএবিতে এনে দেশ ধংসের নীল নকশায় লিপ্ত দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমানের চেলা, দুর্ধষ অব: স্কোয়াড্রন লিডার ওয়াহিদুন নবী ও তার পাচাটা মাফিয়া মাসুদ। বর্তমান সদস্য এফএসআর (True Aviation)/ “ট্রু এভিয়েশন”এই অরাজকতার জানার পরেও শুধুমাত্র জামাতি বিএনপির দুষ্টু রাজনৈতিক সম্পর্কের বিবেচনায় এভিয়েশেনের নিয়মনীতি ভেঙ্গে মাসুদ গংদের সংবেদনশীল OSPL লাইসেন্স প্রদানের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। মাসুদ মদ্যপ ও সশস্ত্র অবস্থায় বিএএবি এর আওয়ামীপন্থী লোকজনদের হুমকি ধামকি দিয়ে বেআইনি কাজ করাচ্ছে। মাসুদ সব জায়গায় বলে বেড়াচ্ছে বিমানবাহিনী প্রধান তার বন্ধু এবং সিএএবিতে তার কথার বাইরে যাওয়ার সাহস করো নেই।
এই দুষ্টু চক্রকে এখনই রোধ না করতে পারে আমাদের নেত্রীর স্বপ্নলালিত বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টর মারাত্বক হুমকির সম্মুখীন হবে।
Development by: webnewsdesign.com