‘এখন তো মনে হয় ছোটবেলায় দুজনের পরিচয় হলো না কেন। তাহলে আমরা জীবনটাকে আরও বেশি উপভোগ করতে পারতাম। আমার আর রাজের প্রেম জমে গেছে।’ এই কথাগুলো চিত্রনায়িকা পরীমনির। ওপরের কথাগুলো বলার সময় তাঁর উচ্ছ্বাস টের পাওয়া যাচ্ছিল ফোনের এপার থেকেই। কেমন সেটা অভিনেত্রীর কণ্ঠ শুনেই বোঝা যাচ্ছিল। তারপরও আনুষ্ঠানিকতার খাতিরে প্রশ্নটা করতেই জানালেন, তাঁদের সময়টা দারুণ কাটছে।
ঘরে যে নতুন অতিথি আসছে, সে খবর আগেই জানিয়েছেন শরীফুল রাজ ও পরীমনি। সেই অনাগত অতিথির অপেক্ষাতেই এখন তাঁদের সকাল, দুপুর আর রাত কাটছে।
পরীমনি জানালেন, শুটিং না থাকলে রাজ পুরো সময়ই তাঁর পাশে থাকছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখন রাজের কোলে শুয়ে আছি। সারাক্ষণ ও যত্ন নিচ্ছে আমার। পছন্দের নানা ধরনের ডিশ নিয়মিতই রান্না করে খাওয়াচ্ছে।’
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ২৭ সপ্তাহ পার করছেন পরীমনি। আর হয়তো ১০-১২ সপ্তাহ পরেই সন্তান পৃথিবীতে আসতে পারে। অভিনেত্রী বলেন, ‘ডাক্তার এখনো নির্দিষ্ট সময় দেননি। আশা করছি আগামী ১০ কী ১২ সপ্তাহে পরই আমার সন্তান পৃথিবীতে আসবে। সেভাবেই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
কীভাবে সময় কাটছে? উত্তরে জানালেন দিনযাপনের বিস্তারিত, ‘এখন চলাফেরা আগের চেয়ে সীমিত করেছি। বিছানায় শুয়ে-বসেই বেশি সময় কাটাই। রাজ বাসায় থাকলে কিছুক্ষণ পরপরই আমার পেটে হাত দিয়ে “বাবা”, “বাবা” বলে ডাকে। আমার সন্তান হয়তো বুঝতে পারে। কারণ, রাজ ডাকলেই পেটের মধ্যে নড়াচড়া টের পাই। অনাগত সন্তানের কথা মনে করে মাঝে মাঝেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই। এ যেন এক ভীষণ সুখের সময় পার করছি আমরা দুজনে।’
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর তেমন কোনো শারীরিক সমস্যা হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রেগনেন্সির সময় অনেক মেয়ে আচার, টকজাতীয় খাবারে বেশি আসক্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু আমার তেমন কিছু হচ্ছে না। স্বাভাবিক সব খাবারই খেতে পারছি। পেঁপে, আনারস, সি ফুড জাতীয় খাবার চিকিৎসক এড়িয়ে যেতে বলেছেন। সেগুলো খাচ্ছি না। খুব ভালো আছি। প্রথম দিকে সারা রাত ঘুম হতো না, এখন ভালো ঘুমও হয়।’
এখন সন্তান জন্ম নেওয়ার আগে চাইলেই ছেলে না মেয়ে সন্তান হবে জানা যায়। তারকারা অন্তঃসত্ত্বা হলে সবার কৌতূহল যেন আরও বেড়ে যায়। সবার জিজ্ঞাসা ছেলে, না মেয়ে সন্তানের মা হতে চলেছেন পরীমনি?
এই রহস্য রহস্যই রাখলেন পরীমনি, ‘আমরা ইচ্ছা করেই ওই পরীক্ষা করিনি। এটি সবার জন্য একটা সারপ্রাইজ হিসেবে থাকুক। আর জানলে মজা থাকবে না। তা ছাড়া ছেলে না মেয়ে হবে, তা নিয়ে আমরা ভাবছিও না। ভাবছি, সন্তান যেন সুন্দর ও সুস্থভাবে পৃথিবীতে আসে।’
Development by: webnewsdesign.com