ব্রেকিং

x

বড় ব্যবধানে কাতারের বিপক্ষে হারল বাংলাদেশ

শনিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২০ | 215 বার

বড় ব্যবধানে কাতারের বিপক্ষে হারল বাংলাদেশ
এমন আক্রমনাত্তক খেলেও বড় ব্যবধানে কাতারের বিপক্ষে হারল বাংলাদেশ

এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারকে রুখে দেওয়ার স্বপ্ন দেখালেও জামাল ভূঁইয়ারা মাঠে তা করতে পারলেন না। শুক্রবার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ে ফিরতি পর্বের ম্যাচে কাতারের বিপক্ষে ০-৫ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।

দোহার আব্দুল্লাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হওয়া ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয় কাতারের ০-২ গোলের অগ্রগামিতায়। দ্বিতীয়ার্ধে আরো তিন গোল হজম করে বাংলাদেশ। ‘ই’ গ্রুপের প্রিলিমিনারি রাউন্ডে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। এর আগে ওমানের মাঠে ১-৪ গোলে হারটি ছিল সবচেয়ে বড়।

কাতারের পক্ষে এদিন জোড়া গোল করেছেন আল মোয়েজ আলি ও আকরাম আফিফ। অন্য গোলটি করেন আব্দেলাজিজ।

পাঁচ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের পয়েন্ট মাত্র ১। ভারতের বিপক্ষে ড্র থেকে আসে সেই পয়েন্ট। বাকি চার ম্যাচেই হারল জেমি ডের দল।

এমনিতে যে শঙ্কা ছিল, হয়েছে সেটাই। ম্যাচজুড়ে একের পর এক কাতার ফুটবলারদের আক্রমণের ঢেউ আঁচড়ে পড়ল বাংলাদেশ রক্ষণে। জামাল ভূঁইয়া-তপু বর্মনরা ৯ মিনিটের বেশি নিজেদের পোস্ট অক্ষত রাখতে পারেনি।

যদিও বাংলাদেশ গোল হজম করতে পারত আরো আগে। যদি না চতুর্থ মিনিটে আহমেদ আলায়েলদিনের হেড সাইড পোস্টে না লাগত। তবে স্বাগতিকদের খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। এর ৫ মিনিট পরই দলকে এগিয়ে দেন আব্দেলাজিজ। বাঁ প্রান্ত থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল তিনি পোস্টে মারে। যা বাংলাদেশের খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে জালে জড়ায়।

বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে এদিন একাদশে বড়সড় চমক দেন। এক নম্বর গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে একাদশে না রেখে ক’দিন আগেই নেপালের বিপক্ষে সিরিজে প্রথম ম্যাচে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়া আনিসুর রহমান জিকোর ওপর আস্থা রাখেন তিনি।

বসুন্ধরা কিংসের এই গোলরক্ষক অবশ্য ম্যাচ জুড়ে ভালো কিছু সেভ করেছেন। কোচের আস্থার প্রতিদান তিনি দিয়েছেন ভালোভাবেই।

এ ছাড়া নম্বর নাইন পজিশনের অভিজ্ঞ নাবিব নেওয়াজ জীবনের পরিবর্তে প্রথম একাদশে নামানো হয় মাহবুবুর রহমান সুফিলকে। যিনি নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে গোল করেন এবং সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। তবে এদিন আসলে তেমন কিছুই করতে পারেননি। নেপাল আর কাতারের পার্থক্য বুঝেছেন তিনিও।

৩৩ মিনিটে গোলের ব্যবধান দ্বিগুণ করে কাতার। এর দুই মিনিট আগে আকরাম আফিফেরর শট গোলরক্ষক জিকো রুখে দিলেও এ দফায় জাল খুঁজে নেন আফিফ। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তার দূর পাল্লার শট শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতে হয়েছে জিকোকে। কিছুই করার ছিল না ।

বিরতির পর ম্যাচের ৪৯ মিনিটে প্রতিপক্ষের শট ফিস্ট করে প্রতিহত করেন জিকো। ৫৪ মিনিটে বাংলাদেশের রক্ষণের ভুল কাজে লাগাতে পারেননি আহমেদ আলায়েলদিন। বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা ভুল করে বসেন, পুরো ফাঁকা হয়ে যায় রক্ষণভাগ। তবে ফায়দা লুটতে পারেনি আলায়েলদিন।

৬৩ মিনিটে আল মোয়েজ আলির শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে রুখেন বাংলাদেশ গোল রক্ষক জিকো। পরের মিনিটেই আল বায়াতির শট ফিস্ট করে রুখেন।

৬৫ মিনিটে সুফিলকে তুলে নিয়ে জীবনকে নামান বাংলাদেশ কোচ জেমি। তবে সেটা ম্যাচে কোনো প্রভাব ফেলেনি। বরং ৭১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ায় কাতার। স্পট কিক থেকে গোল করেন আল মোয়েজ। তাতে ব্যবধান হয় ৩-০। ৬ মিনিট পরই তিনি নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করেন (৪-০)।

সেই গোলের পর জোড়া পরিবর্তন আনেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। তপু বর্মনকে তুলে নিয়ে নামানো হয় ইয়াসিন খানকে। ইব্রাহিমের পরিবর্তে নামানো হয় রাকিব হোসেনকে। শেষ দিকে বিপলুকে তুলে নিয়ে নামানো হয় সুমন রেজাকে।

যোগ করা সময়ে আকরাম আফিফ বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেক ঠুঁকে দেন। তাতে বড় পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জেমি ডের দল।

Development by: webnewsdesign.com