সোমবার ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>
Advertisement Placeholder

শিল্পকলায় ‘আইন লঙ্ঘন’, পরিষদ ছাড়লেন আরো চারজন

  |   শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   137 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

শিল্পকলায় ‘আইন লঙ্ঘন’, পরিষদ ছাড়লেন আরো চারজন

আজাদ আবুল কালাম ও সামিনা লুৎফা পদত্যাগপত্রে বলেছেন, শিল্পকলার ‘বেআইনি’ কাজের সঙ্গে তারা নিজেদের যুক্ত রাখতে চান না।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালনা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আরো চারজন সদস্য।

আজাদ আবুল কালাম, সামিনা লুৎফা নিত্রা, লায়েকা বশীর এবং র‌্যাচেল প্যারিস বুধবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক শেখ রেজাউদ্দিন আহমেদের (রেজাউদ্দিন স্টালিন) কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

আজাদ আবুল কালাম ও সামিনা লুৎফার পদত্যাগপত্রের কপি দেখেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেজাউদ্দিন স্টালিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাদের পদত্যাপত্র পেয়েছি। আমি যথানিয়মে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব।”

আজাদ আবুল কালাম পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, “পরিষদকে সম্পূর্ণ অকার্যকর রেখে ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতা চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের শহীদের রক্তের প্রতি সবচেয়ে বড় অবিচার হিসেবে দেখছি। বেআইনিভাবে শিল্পকলা যতদিন চলেছে, ততদিনের কোনো কর্মকাণ্ডের দায়ভার আমি নেব না, কারণ পরিষদকে ইচ্ছাকৃতভাবে পাশ কাটানো ও অকার্যকর রাখা হয়েছে।”

আর সামিনা লুৎফা লিখেছেন, “শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রম আইনানুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না। কাজেই বেআইনি কাজের সাথে আমি নিজেকে যুক্ত রাখতে ইচ্ছুক নই।”

তিনিও পরিষদকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে পাশ কাটিয়ে অকার্যকর রাখা’র অভিযোগ করেছেন; বলেছেন,

‘বেআইনিভাবে’ শিল্পকলা যতদিন চলেছে, ততদিনের কোনো কর্মকাণ্ডের দায়ভার তিনি নিতে চান না।

গত বছরের ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে মহাপরিচালকের পদ ছাড়েন লিয়াকত আলী লাকী। পরে ৯ সেপ্টেম্বর মহাপরিচালক পদে নাট্যনির্দেশক ও গবেষক অধ্যাপক সৈয়দ জামিল আহমেদকে দুই বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়।

গত বছরের ১৭ অক্টোবর শিল্পকলা একাডেমি আইন ১৯৮৯ এর ৫(১) উপধারা অনুসারে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়।

পুনর্গঠিত পরিষদে সদস্য মনোনীত হন ছায়ানটের সঙ্গীত শিক্ষক লায়েকা বশীর, নৃত্যশিল্পী র‌্যাচেল অ্যাগনেস প্যারিস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, লেখক-গবেষক আলতাফ পারভেজ।

এছাড়া ঢাকা বিভাগ থেকে মনোনীত হন আজাদ আবুল কালাম, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে জয়দেব রোয়াজা, রাজশাহী বিভাগ থেকে আসাদুজ্জামান দুলাল, খুলনা বিভাগ থেকে শিপন, বরিশাল বিভাগ থেকে দেবাশীস চক্রবর্তী, সিলেট বিভাগ থেকে শামসুল বাসিত শেরো, রংপুর বিভাগ থেকে ইফতেখারুল আলম রাজ। ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে কমল কান্তিকে সদস্য মনোনীত করা হয়।

বিগত নয় মাসে পরিষদের সভা হয়েছে মাত্র একবার, সৈয়দ জামিল আহমেদ থাকাকালে। মহাপরিচালক পদ থেকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ জামিল আহমেদের পদত্যাগের মত ঘটনার পরও পরিষদের সভাপতি সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী কোনো সভা ডাকেননি।

গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে শিল্পকলার চারুকলা বিভাগের পরিচালক মোস্তফা জামান পদত্যাগ করেন, আর জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে শিল্পকলার পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন লেখক-গবেষক আলতাফ পারভেজ।

শিল্পকলা আইনের ৪ নম্বর ধারায় (সাধারণ পরিচালনা বিষয়ে) বলা আছে, একাডেমির সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন একটি পরিষদের উপর ন্যস্ত থাকবে এবং পরিষদ সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কাজ করতে পারবে, যা একাডেমি কর্তৃক প্রযুক্ত ও সম্পন্ন হতে পারে।

এই পরিষদ গঠিত হওয়ার পর ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর পরিষদের ১২৫তম সভা হয়। এরপর আর কোনো সভা হয়নি।

শিল্পকলা একাডেমি আইনের ১২(১) উপধারা অনুযায়ী, পরিষদ প্রতি তিন মাসে কমপক্ষে একবার সভায় মিলিত হবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান পরিষদের সভাপতি নির্ধারণ করবেন।

কিন্তু তা না হওয়ায় ‘আইনগত ব্যত্যয়’ হয়েছে অভিযোগ করে ‘শংকিত ও ক্ষুব্ধ’ বোধ করার কথা বলেছেন আজাদ আবুল কালাম।

তিনি বলেন, “নিয়মানুযায়ী গত ১৮ মার্চের মধ্যে পরিষদের ১২৬তম সভাটি হবার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত সে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়নি, যা আইনের গুরুতর লংঘন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক
মোঃ মাসুদ রানা হানিফ

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়

৮৯/৭ আর কে মিশন রোড, গোপীবাগ, ঢাকা-১২০৩।

মোবাইল : ০১৯২০-০০৮২৩৪, ০১৯৭০০৯০০০৯

ই-মেইল: dhakarkagoj1@gmail.com