
| রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | প্রিন্ট | 4 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে

প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালট পেপার আগামী পরশু (মঙ্গলবার) থেকে পাঠানো শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে গণভোট ও সংসদ নির্বাচনের জন্য দুই রঙের দুটি ব্যালট পাঠানো হবে।
রবিবার ১০ম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
জানা গেছে, গত ১৯ নভেম্বর প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার জন্য অনলাইনে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধন শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ পর্যন্ত সোয়া দুই লাখ প্রবাসী নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন হয়েছে সৌদি আরব থেকে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থাপনা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আমাদের দুই ধরনের পোস্টাল ব্যালট আছে। দেশের ভেতর থেকে এবং দেশের বাইরে থেকে। দেশের বাইরের ব্যালটগুলো আমরা আগামীকালকে থেকে ছাপানোর কাজ শুরু করছি। আগামী পরশুদিন থেকে এটা বিদেশে পাঠানোর কাজ শুরু হবে। আর দেশের ভেতরে যে পোস্টাল ব্যালটগুলো আছে, সেগুলোর আমরা নিবন্ধন কাজ শুরু করব। দেশের ভেতরে তিন ধরনের ভোটার (আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি, ভোটের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি ও সরকারি কর্মচারি) পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারেন। তারা তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে শুরু করে মোট ১৫দিন নিবন্ধন করতে পারবেন। এ নিবন্ধন সম্পন্ন হলে তাদের কাছে ইনকান্ট্রি পোস্টাল ভোটিংয়ের ব্যালট চলে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিকদের কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেছি। তারা যেন নির্বিঘ্নে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। যেসব সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন সে ব্যাপারে পরিপত্র জারি করা হবে। আমরা বিশেষভাবে আলোচনা করেছি। কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের কাছ থেকেও এই পয়েন্টটা এসেছিল। যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাথে যারা সম্পৃক্ত থাকেন তারা আগের রাতে যখন ওই কেন্দ্রে গিয়ে পৌঁছান তাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা দুর্বল থাকে বিধায় তারা স্থানীয় অনেকের সহায়তা নিতে বাধ্য হন। এবং এই সহায়তা নেওয়ার ফলে অনেক সময় এখানে রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করে থাকে এবং তারা পরের দিন নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারেন না। আমরা দৃঢ়ভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে এটা নিরুৎসাহিত করছি এবং বলে দেওয়া হচ্ছে কোনো ধরনের স্থানীয় সহায়তা তারা নেবেন না।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, আগামীকালকে আমরা আঞ্চলিক এবং সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিকেল ৩টায় ঘটিকায় একটি জুম মিটিং করব। তফসিল উত্তর কার্যক্রমের কয়েকটি বিষয় আলোচনা হবে-যেমন রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের নিয়োগ।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ে যেদিন তফসিল ঘোষণা হবে সেদিনই সন্ধ্যাবেলায় আমরা জেলা এবং জেলা পর্যায়ের প্রশাসনের কর্মকর্তা, তথা জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে আমরা জুম মিটিং করব। পরবর্তী সময়ে একটা ফিজিক্যাল মিটিং হবে, যেটা প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পরে। নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহের জন্য অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়ে থাকে। সাধারণত ১০ জনের একটা কমিটি করা হয়ে থাকে। আমরা এই কমিটিটাকে ১৪ জনে উন্নীত করেছি। যেখানে আমাদের একজন অতিরিক্ত সচিব নেতৃত্বে থাকবেন। ১০ জনের এলাকাভিত্তিক আরও একটি কমিটি থাকবে, যারা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা প্রশ্নোত্তর ইত্যাদি এলাকাভিত্তিক সলভ করবেন।



