ব্রেকিং

x

আজিমপুর গণপূর্ত প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পে

আলোচিত নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানের হাতে কতটা নিরাপদ!

রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪ | 211 বার

আলোচিত নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানের হাতে কতটা নিরাপদ!

রাজবাড়ীর আলোচিত গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মনিরুজ্জামানকে আজিমপুর গণপূর্ত বিভাগে সম্প্রতি বদলি করা হয়েছে। একজন দুর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের কাজ ও গণপূর্তের সরকারি আবাসিক কলোনির ভবন নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের কাজ কিভাবে করবেন তা দেখার বিষয়।

এর আগে আজিমপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইলিয়াস আহম্মেদ ছিলেন যদিও তার বিরুদ্ধে অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীর বরাবরে। কিন্তু নিবিড় তদন্তেও কোন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। কাজ করতে গিয়ে তিনি অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন । তিনি দক্ষ হাতে সামলেছিলেন অনেক বড় বড় বাধা, সব বাধা পেরিয়ে মো: ইলিয়াস আহম্মেদ দিনরাত পরিশ্রম করে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়েছিলেন। কিছুদিন আগে মো: ইলিয়াস আহম্মেদ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে পদায়ন পেয়েছেন।

রাজবাড়ীর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর মো: মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রথম শ্রেণীর জাতীয় দৈনিক ও ঢাকা পোষ্ট, জাগো নিউজ সহ অনেক অনলাইনে নিউজ প্রকাশিত হয়েছে। একজন দূর্নীতিবাজ প্রকৌশলীর হাতে কতটা নিরাপদ প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের কাজ এটা নিয়ে অনেকেই কানাঘুষা শুরু করছেন।

ঘটনা-১

রাজবাড়ীর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন ঠিকাদাররা। (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩) জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের কাছে এ অভিযোগ দেন তারা।

অভিযোগে বলা হয়েছিলো গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান চরমভাবে দুর্নীতি করে আসছে। নির্বাহী প্রকৌশলী সপ্তাহে মাত্র দুদিন অফিস করেন। দুপর ১২টায় অফিসে এসে আড়াইটার দিকে অফিস ত্যাগ করেন। ঠিকাদারদের সঙ্গে তিনি ঠিকমতো কথা বলেন না।
প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার এপিপি (মেরামতের) কাজ আসে। এ কাজগুলো নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাদের নিজস্ব কিছু ঠিকাদারের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে বণ্টন করেন। অনেক তালিকাভুক্ত ঠিকাদার এসব কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমনকি তারা বেনামি ভাউচার করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।

মানিকগঞ্জের এক ঠিকাদার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার কাজ সম্পূর্ণ না করলেও তাকে চূড়ান্ত বিল পরিশোধ করেছেন। এভাবে তিনি দিনের পর দিন দুর্নীতি করে আসছেন। এছাড়া উপ- সহকারী প্রকৌশলী মো. কবিরুল আলম ১২ বছর ধরে চাকরি করছেন। এর সুবাদে উনার নিজস্ব ২-৩ জন ঠিকাদারের মাধ্যমে নির্বাহী প্রকৌশলীর যোগসাজশে কাজগুলো করে থাকেন। এভাবে তারা সরকারি অর্থ লোপাট করছেন।

ঐ সময়ে গোলাম কবির নামের এক ঠিকাদার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মনিরুজ্জামান ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ দিয়েছেন।

ঘটনা-২

নরসিংদীতে থাকাকালীন সময়ে গনপুর্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ উঠেছিলো। নরসিংদিতে বদলী হয়েই তিনি নিজের ইচ্ছামত ই-জিপি টেন্ডারে অনিয়ম এবং পিপিআর এর বিধি না মেনে অর্থের বিনিময়ে নিদিষ্ট কিছু ঠিকাদারকে কাজ দিয়েছিলেন সে সময়েও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ঠিকাদাররা।

(২৯ জুন ২০২০) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রী,সচিব গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রানালয়,প্রধান প্রকৌশলী,মহাপরিচালক,সচিব পরিকল্পনা মন্ত্রানালয়, বরাবর মেসার্স পারুল এন্ড ব্রাদার্স,মেসার্স আকিব ট্রেডাস,মেসার্স রাহাত এন্টারপ্রাইজ,মেসার্স রুপা এন্টারপ্রাইজ নামে ১ম শ্রেনীর ঠিকাদারা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

লিখিত অভিযোগে বলেন নরসিংদীর গণপূর্ত অধিদপ্তরের তালিকা ভূক্ত ঠিকাদারগন ই-জিপি পদ্ধতিতে আহবানকৃত ই- টেন্ডার এ যথানিয়মে অংশগ্রহন করে থাকে। বিশ্বস্ত সুত্রে জানতে পারে, টেন্ডার সঠিক থাকা সত্তেও তাদের টেন্ডারকে নন রেসপনসিব করে পছন্দমত নির্দিষ্ট ঠিকাদারকে অর্থের বিনিময়ে লটারীতে বিজয়ী করা হয়ে থাকে। তাদের টেন্ডারে অংশগ্রহনকারী ঠিকাদারগনকে অবহিত না করেই গোপনে লটারী করে থাকে যার কিছুই তারা জানতে পারেনি উল্লেখিত দপ্তর হতে।

কাজের টেন্ডার করার পূর্বেই যাদেরকে কাজ বন্টন করা হয় শুধু মাত্র সেই ঠিকাদারই লটারীতে বিজয়ী হয়। সে প্রক্ষিতে তাদের ধারনা তাদের টেন্ডারকে নন রেসপনসিব করেই লটারী করা হয়ে থাকে। অভিযোগে কিছু টেন্ডারের আইডি উল্লেখ করেন তারা।

৪৬২৩০৬,৪৬১৯৭৭,৪৬১৯৩৩,৪৬১৯৩৯,৪৬১৯৫৭,৪৬১৯৬২,৪৬১৯৮১,৪৮১৯৮৯,৪৬১৯৯৩,৩৩৩০১৯,৩৩১৬৪২ এবং ৩৩১৭১৭ এসব টেন্ডার আইডি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ করেন তারা। অফিস সুত্রে জানাযায় অভিযোগের বিষয়ে হেড অফিস তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঝিনাইদহে থাকাকালীন সময়েও নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে রয়েছে অনেক অভিযোগ ।

নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মনিরুজ্জামান এর ‍বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকার পরও কেন আজিমপুরের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বদলি করা হলো তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অনেক ঠিকাদাররা চিন্তায় পড়েছেন, আবার না নরসিংদি বা রাজবাড়ীর মত ঘটনা হয় তা হলে ভালো মানের ঠিকাদাররা পড়বেন বিপদে ।

Development by: webnewsdesign.com