সোমবার ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>
Advertisement Placeholder

বিজেএমসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি ও অবসরপ্রাপ্তদের আনুতোষিক পরিশোধ সহ বিভিন্ন দাবিতে গেইট মিটিং

  |   রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   26 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

বিজেএমসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি ও অবসরপ্রাপ্তদের আনুতোষিক পরিশোধ সহ বিভিন্ন দাবিতে গেইট মিটিং

বিজেএমসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন-ভাতাদি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুতোষিক পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এবং বিজেএমসি’র নিজস্ব অফিস ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থান “করিম চেম্বার” ভবন অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রদান না করে বিজেএমসি’র ‘অফিস কাম বাণিজ্যিক ভবন’ নির্মানের অনুমতি প্রদানের জন্য বাপাশিকস ও সিবিএ এর পক্ষ হতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ও সচিব বরাবরে গত ১৮/১১/২০২৫ তারিখে আবেদন প্রেরণ করা হয়। কিন্তু অদ্যাবধি এ বিষয়ে কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি বিধায় আমাদের নিম্নোক্ত দাবিসমূহ আদায়ের লক্ষ্যে বিজেএমসি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উদ্যেগে আজ সকালে বিজেএমসি’র প্রধান কার্যালয়ের (আদমজী কোর্ট, এনেক্স-১ ভবন) মেইন গেইটে একটি গেইট মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

একইসাথে বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন ২৫টি জুটমিলসমূহের অফিস গেইটে গেইট মিটিং অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিজেএমসি’র প্রধান কার্যালয়ের গেইট মিটিং-এ বিজেএমসি’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। বিজেএমসি’র মুখ্য পরিচালন কর্মকর্তা, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাঃ ও সা:সেবা)/(হিসাব ও অর্থ)/আইন/উৎপাদন/বিপণন/পরিকল্পনা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক- রক্ষণাবেক্ষণ/ বিপণন/ গমানি ও সিবিএ সভাপতি, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি এবং অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

কর্মকর্তাগণ বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, “গত সরকার ১লা জুলাই ২০২০ সালে বিজেএমসি’র উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শ্রমিকদেরকে গোল্ডেন হ্যান্ডশ্যাকের মাধ্যমে চাকুরী অবসায়ন করে এবং উদ্বৃত্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে আত্তীকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যত্র আত্তীকরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার ঘোষণা দেয়। কিন্তু অদ্যাবধি ৫ বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও আত্তীকরণ কার্যক্রম বিভিন্ন কারনে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি যা এখনো চলমান রয়েছে। মিল বন্ধ পরবর্তীতে প্রায় ৪ বছর বিজেএমসি’র মজুদ পণ্য বিক্রয়লব্ধ টাকা দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে।

গত জুলাই ২০২৪ হতে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত  অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। গত ০৮/০৯ মাস যাবত অর্থ মন্ত্রণালয় হতে কোনরকমের অর্থ বরাদ্দ না করায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছে না। ফলে অনেকেই আর্থিক সংকটের কারনে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এ অবস্থায় নিয়মিত বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমান অর্থ বরাদ্দের আহবান জানান।

এছাড়াও বক্তারা আরো উল্লেখ করেন যে, ২০২১ সালের পর হতে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুতোষিক বাবদ সরকার কোন অর্থ বরাদ্দ না করায় শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকুরি হতে অবসর গিয়ে আর্থিক সংকটের কারনে বিনা চিকিৎসায় অনাহারে ও অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। অনেকেই সন্তানদের লেখাপড়া এমনকি ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিতে পারছে না। কাজেই মানবিক কারনে অবসরপ্রাপ্তদের ন্যায্য আনুতোষিক পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমান অর্থ বরাদ্দের আহবান জানানো হয়।

সভায় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন যে, বিজেএমসি বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন এবং সর্ববৃহৎ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও বর্তমানে ঢাকা-শহরে বিজেএমসি’র নিজস্ব কোন ‘অফিস ভবন’ নেই। বর্তমানে বিজেএমসি’র ব্যবহৃত আদমজী কোর্ট ভবনটি একসময় বিজেএমসি’র মালিকানাধীন থাকলেও কত কয়েক বছর পূর্বে এ ভবনটি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় তাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে যায়। ফলে বিজেএমসি এখন ভাড়াটিয়া হিসেবে এ ভবনে অবস্থান করছে। ঢাকা শহরে বিজেএমসি’র একমাত্র জায়গা ৯৯, মতিঝিল, করিম চেম্বার ভবনটি ভেঙে নতুন একটি ‘অফিস ভবন কাম বাণিজ্যিক ভবন’ দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ও লালিত স্বপ্ন ছিল। বর্তমানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক করিম চেম্বার ভবনটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে প্রদানের কার্যক্রম শুরু করেছে, যা বিজেএমসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কোনদিন বাস্তবায়ন হতে দিবে না। বিজেএমসি’র সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের একমাত্র প্রাণের দাবি তাদের নিজস্ব জায়গা করিম চেম্বারে বিজেএমসি’র নিজস্ব অফিস কাম বাণিজ্যিক ভবন নির্মান করার সদয় অনুমতি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

উল্লিখিত দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে আরো কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে মর্মে- তারা জানান। আজকের গেইট মিটিং শেষে বিজেএমসি প্রধান কার্যলয় ও মিলগুলোর প্রতিনিধিদের পক্ষ হতে নিম্নোক্ত দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি মাননীয় উপদেষ্টা, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বরাবর প্রেরণের জন্য বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

দাবিসমূহ :

(১) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি নিয়মিতভাবে পরিশোধের জন্য সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয় পরিমাণ টাকা বরাদ্দ প্রদান;

(২) অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুতোষিক পরিশোধের জন্য সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয় পরিমাণ টাকা বরাদ্দ প্রদান;

(৩) বিজেএমসি’র উদ্বৃত্ত জনবল অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে আত্বীকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা;

(৪) বিজেএমসি’র নিজস্ব অফিস ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থান “করিম চেম্বার” ভবন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে প্রদানের কার্যক্রম বন্ধ করে বিজেএমসি’র অফিস কাম বাণিজ্যিক ভবন নির্মানে সরকারের অনুমতি প্রদান।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক
মোঃ মাসুদ রানা হানিফ

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়

৮৯/৭ আর কে মিশন রোড, গোপীবাগ, ঢাকা-১২০৩।

মোবাইল : ০১৯২০-০০৮২৩৪, ০১৯৭০০৯০০০৯

ই-মেইল: dhakarkagoj1@gmail.com