ব্রেকিং

x

সাকরাইন উৎসবে সেজেছে পুরান ঢাকার অলিগলি,প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঘুড়ি প্রেমীরা

শনিবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ | 238 বার

সাকরাইন উৎসবে সেজেছে পুরান ঢাকার অলিগলি,প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঘুড়ি প্রেমীরা
পুরান ঢাকার শাখারি বাজারে সাকরাইন উৎসব উপলক্ষে বাহারি রংয়ের ঘুড়ি দেখছেন দুই তরুণী।

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবের দেখা মেলবে রাত পোহালেই । উৎসবমুখর আয়োজনে চলছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবের প্রস্তুতি । প্রতি বছর পৌষের শেষ দিনে উৎসবটি পালন করে থাকেন তারা । পৌষসংক্রান্তি উৎসবটি তাদের ঐতিহ্যের প্রতীক।

আগামীকাল রবিবার (১৫ জানুয়ারি) পালন করা হবে এ সাকরাইন উৎসব। এজন্য সাজতে শুরু করেছে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। সাকরাইনে ঘুড়ি উড়ানোর পাশাপাশি সন্ধ্যায় বর্ণিল আতশবাজি ও রঙবেরঙ ফানুশে ছেয়ে যাবে বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী শহরের আকাশ।

সরজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর সূত্রাপুর, নবাবপুর, ধূপখোলা, শ্যামবাজার, শাঁখারি বাজার, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, সদরঘাট, গেন্ডারিয়া, লালবাগ, চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে সাকরাইনের আমেজ। চলেছে ঘুড়ি বিক্রি এবং ছাদ সাজানো।

 

 

 

শাখারি বাজারের ঘুড়ির দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে চোখদার, রকদার, গরুদার, মাছলেঞ্জা, ফিতালেঞ্জা, একরঙা, চানতারা, বাক্স ঘুড়িসহ নানান নামের ঘুড়ি।

শাখারি বাজারের ঘুড়ির দোকানিরা জানান তাদের দোকানে বিভিন্ন দামের ও ধরনের ঘুড়ি রয়েছে। সর্বনিম্ন ৬ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ টাকার ঘুড়িও আছে। তবে এক হাজার বা বেশি সংখ্যক নিলে ১ টাকা করে কম রাখা হচ্ছে। সুতার দাম সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকার পর্যন্ত রয়েছে।

প্রতিবছর সাকরাইনে কয়েক লাখ টাকার ঘুড়ি বিক্রি করেন শাঁখারি বাজারের ব্যবসায়ীরা।

শাখারি বাজারে ঘুড়ি কিনতে এসেছেন স্থানীয় বাসিন্দা অনন্যা সেন ও অঙ্কিতা সেন। তারা জানান, আমাদের কাছে এই উৎসব অনেক ভালো লাগে। প্রতিবছর আমরা ঘুড়ি উড়ানোর পাশাপাশি পৌষ সংক্রান্তির পিঠা উৎসব করে থাকি। এই উৎসবে আমরা নিজেদের আত্নীয় স্বজনদের দাওয়াত দিয়ে থাকি।

পুরান ঢাকায় পুরনো যেসব উৎসব যুগের পর যুগ পালিত হয়ে আসছে, তার মধ্যে সাকরাইন অন্যতম। ১৭৪০ সালের পৌষ মাসের শেষ এবং মাঘ মাস শুরুর সন্ধিক্ষণে মোঘল আমলে নায়েব-ই-নাজিম নওয়াজেশ মোহাম্মদ খানের সময়ে ঘুড়ি উৎসবের প্রচলন শুরু হয় বলে জানা যায়। কালের পরিক্রমায় এই দিনটি পুরান ঢাকাইয়াদের একটি অন্যতম উৎসব এবং আমেজে পরিণত হয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com